বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য করনীয় গুলো কি কি-০২৩

বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন, যেখানে দুটি মানুষ ভালোবাসা, সম্মান এবং দায়িত্বের সঙ্গে একসাথে জীবন পার করার অঙ্গীকার করে। তবে প্রতিটি সম্পর্কে কিছু চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, এই সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দাম্পত্য জীবন সংকটের মুখে পড়ে। তাই বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী, সুখী এবং স্থিতিশীল রাখার জন্য কিছু সচেতনতা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
নিচে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় আলোচনা করা হলো:
১. পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা
সম্মান ছাড়া কোনো সম্পর্কই স্থায়ী হয় না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্মান থাকা খুব জরুরি। একজন আরেকজনকে ছোট করে দেখা, অবহেলা করা বা কটূক্তি করা বিবাহিত জীবনে তিক্ততা আনে।
করণীয়:
-
একজনের মতামত ও অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন।
-
কারও ব্যক্তিত্ব বা পরিবারকে অপমান করবেন না।
-
একে অপরের কাজের মূল্যায়ন করুন।
২. খোলামেলা ও আন্তরিক যোগাযোগ
যেকোনো সুস্থ সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি হলো সৎ ও পরিষ্কার যোগাযোগ। সমস্যার কথা, মতভেদ, অনুভূতি সব কিছু খোলাখুলি আলোচনা করলে ভুল বোঝাবুঝি কমে যায়।
করণীয়:
-
দিনের শেষে অন্তত কিছুক্ষণ একসাথে সময় কাটান এবং কথা বলুন।
-
সমস্যা লুকিয়ে না রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন।
-
চিৎকার বা তর্ক না করে শান্তভাবে মত প্রকাশ করুন।
৩. আস্থা ও বিশ্বাস বজায় রাখা
বিশ্বাস হারিয়ে গেলে সম্পর্ক টিকে থাকে না। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকা আবশ্যক।
করণীয়:
-
অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন।
-
মিথ্যা কথা বলা বা কিছু গোপন করা থেকে বিরত থাকুন।
-
প্রতারণা বা বিশ্বাসভঙ্গের চিন্তাও করবেন না।
৪. সময় দেওয়া ও একসাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানো
দাম্পত্য জীবনের ব্যস্ততা থাকলেও একে অপরের জন্য সময় বের করা প্রয়োজন। একসাথে সময় কাটানো ভালোবাসা বাড়ায় ও সম্পর্ক দৃঢ় করে।
করণীয়:
-
সপ্তাহে অন্তত একদিন একসাথে বাইরে খেতে বা ঘুরতে যান।
-
ছুটির দিনে একসাথে সিনেমা দেখা বা রান্না করা যেতে পারে।
-
স্মৃতিচারণা করুন—যেমন: প্রথম দেখা, বিয়ের দিন ইত্যাদি।
৫. ক্ষমাশীলতা চর্চা করা
মানুষ মাত্রই ভুল করে। একজন সঙ্গীকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করতে পারা খুব বড় গুণ।
করণীয়:
-
ছোটখাটো ভুল বা ত্রুটিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দিয়ে ক্ষমা করে দিন।
-
কোনো পুরনো বিষয় বারবার তুলবেন না।
-
ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৬. যৌনজীবনে সন্তুষ্টি ও আন্তরিকতা বজায় রাখা
দাম্পত্য জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যৌনসম্পর্ক। এটি শুধু শারীরিক না, মানসিক ঘনিষ্ঠতাও তৈরি করে।
করণীয়:
-
সঙ্গীর চাহিদা ও অনুভূতির প্রতি যত্নশীল হোন।
-
একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং খোলামেলা আলোচনা করুন।
-
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
৭. একে অপরের পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি সম্মান দেখানো
স্বামী-স্ত্রীর জীবন শুধু দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবারকেও অন্তর্ভুক্ত করে। তাই পারস্পরিক পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন গুরুত্বপূর্ণ।
করণীয়:
-
একে অপরের মা-বাবা, ভাই-বোনদের সম্মান করুন।
-
উৎসব বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুন।
-
পারিবারিক দ্বন্দ্ব হলে সেটা সরাসরি আলোচনা না করে শান্তভাবে সমাধান করুন।
৮. আর্থিক স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব ভাগাভাগি করা
আর্থিক বিষয় নিয়ে দাম্পত্য জীবনে অনেক সময় ঝামেলা তৈরি হয়। তাই শুরু থেকেই আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
করণীয়:
-
যৌথ বাজেট তৈরি করুন ও ব্যয়ের পরিকল্পনা করুন।
-
কার কত আয় বা সঞ্চয় আছে, সেটা খোলাখুলি আলোচনা করুন।
-
বিপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ান।
৯. একে অপরের স্বপ্ন ও ক্যারিয়ারকে সম্মান করা
দাম্পত্য জীবন মানে কেবল ঘরসংসার নয়, বরং একে অপরের ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সাহায্য করাও এর অংশ।
করণীয়:
-
সঙ্গীর ক্যারিয়ার, পড়াশোনা বা আগ্রহকে উৎসাহিত করুন।
-
একে অপরকে মানসিক সাপোর্ট দিন।
-
সঙ্গীর সফলতায় আনন্দিত হন এবং পাশে থাকুন।
১০. মানসিক ও শারীরিক যত্ন নেওয়া
একজন সঙ্গীর শরীর বা মনের সমস্যার প্রতি উদাসীন হলে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গীর সুস্থতা সম্পর্কের সুস্থতাও নির্ধারণ করে।
করণীয়:
-
সঙ্গী অসুস্থ হলে তাকে সহানুভূতির সঙ্গে সাহায্য করুন।
-
মানসিক চাপ, উদ্বেগ ইত্যাদিতে একে অপরের পাশে থাকুন।
-
একসাথে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন—যেমন: হাঁটাহাঁটি, সঠিক খাওয়া ইত্যাদি।
১১. সন্তান প্রতিপালনে সহযোগিতা
সন্তান প্রতিপালন শুধু একজনের দায়িত্ব নয়। বাবা-মা উভয়কেই এতে অংশ নিতে হবে। এতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
করণীয়:
-
সন্তানের পড়ালেখা, খাওয়া, খেলার সময় ইত্যাদিতে দুজনই অংশ নিন।
-
সন্তানের সামনে ঝগড়া এড়িয়ে চলুন।
-
পরিবারের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একে অপরের মতামত নিন।
১২. ধার্মিক ও নৈতিক চর্চা বজায় রাখা
ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেক সময় দাম্পত্য জীবনকে শক্ত ভিত্তি দেয়। এতে বিশ্বাস, ধৈর্য ও সহানুভূতির চর্চা হয়।
করণীয়:
-
একসাথে নামাজ বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিন।
-
পারিবারিকভাবে নৈতিকতা ও মানবিকতা শেখান।
-
সৎ, ভদ্র ও সহানুভূতিশীল জীবনযাপন করুন।
১৩. সমস্যার সময় থেরাপি বা কাউন্সেলিং গ্রহণ করা
সব সম্পর্কেই জটিলতা আসতে পারে। তবে সেটা সমাধানের জন্য প্রয়োজনে থেরাপিস্ট বা পরামর্শকের সাহায্য নেয়া উচিত।
বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী করণীয়:
-
সম্পর্ক যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন দেরি না করে কাউন্সেলিং করুন।
-
থেরাপিকে দুর্বলতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার একটি সচেতন প্রয়াস হিসেবে দেখুন।
-
একজন নিরপেক্ষ মানুষের দৃষ্টিকোণ অনেক সময় সম্পর্কের উন্নতিতে সাহায্য করে।
উপসংহার
বিবাহিত জীবন একটি চলমান যাত্রা, যেখানে সবার মাঝে ভালোবাসা, ধৈর্য, আত্মত্যাগ এবং বোঝাপড়া থাকতে হয়। শুধুমাত্র প্রেম নয়, বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজ, আচরণ ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমেই সম্পর্ককে গড়ে তোলা যায়। সম্পর্ক রক্ষা করার দায়িত্ব দুজনের—কেউ একা চাইলেই সেটা টিকবে না।
স্মরণ রাখতে হবে, বিবাহ একটি জীবনের অংশ, যেখানে দুইটি মানুষ একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠে। এই পরিপূর্ণতা রক্ষা করার জন্য উপরের করণীয়গুলো চর্চা করা আবশ্যক।
বিবাহ একটি মধুর বন্ধন। এই বন্ধনকে সুন্দর ও মজবুত রাখার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। বিবাহিত জীবন স্থায়ী করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ করনীয় বিষয় নিম্নরূপ:
- একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া:Marriage life একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।
- একে অপরের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে তাদের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, অনুভূতি ও উদ্বেগ শেয়ার করা উচিত।
- একে অপরের জন্য সময় দেওয়া: বিবাহিত জীবনে একে অপরের জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে একান্তে সময় কাটানো উচিত।
- একে অপরকে সাহায্য করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে সাহায্য করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের কাজে সাহায্য করা উচিত।
- একে অপরের সাথে বিশ্বাস রাখা: বিবাহিত জীবনে একে অপরের সাথে বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।
- একে অপরকে ক্ষমা করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে ক্ষমা করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের ভুলের জন্য ক্ষমা করতে হবে।
- একে অপরকে ভালোবাসা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে ভালোবাসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরকে ভালোবাসতে হবে।
- একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া: বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত।
- একে অপরের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে তাদের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, অনুভূতি ও উদ্বেগ শেয়ার করা উচিত।
- একে অপরের জন্য সময় দেওয়া: বিবাহিত জীবনে একে অপরের জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে একান্তে সময় কাটানো উচিত।
- একে অপরকে সাহায্য করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে সাহায্য করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের কাজে সাহায্য করা উচিত।
- একে অপরের সাথে বিশ্বাস রাখা: বিবাহিত জীবনে একে অপরের সাথে বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।
- একে অপরকে ক্ষমা করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে ক্ষমা করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের ভুলের জন্য ক্ষমা করতে হবে।
- একে অপরকে ভালোবাসা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে ভালোবাসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরকে ভালোবাসতে হবে।
- এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি বিবাহিত জীবন স্থায়ী করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ:
- সাময়িক ঝগড়া-বিবাদকে গুরুত্ব না দেওয়া: বিবাহিত জীবনে সাময়িক ঝগড়া-বিবাদ হতেই পারে। এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা: বিবাহিত জীবনে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এতে বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি দূর হয় এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া যায়।
- একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা: বিবাহিত জীবনে একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা জরুরি। এতে দুজনের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত হয়।
- একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়া: বিবাহিত জীবনে সন্তান, চাকরি বা অন্যান্য কারণে একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়া কঠিন হতে পারে। তবে একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
বিবাহিত জীবন স্থায়ী করতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সমানভাবে চেষ্টা করা উচিত। একে অপরকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা করা, বোঝাপড়া করা এবং সহযোগিতা করাই হলো বিবাহিত জীবন স্থায়ী করার মূল চাবিকাঠি।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হলো যা বিবাহিত জীবন স্থায়ী করতে সাহায্য করতে পারে:
- একে অপরের সাথে সময় কাটানোর জন্য নিয়মিত পরিকল্পনা করুন।
- একে অপরের সাথে আপনার দিনের ঘটনা শেয়ার করুন।
- একে অপরকে প্রশংসা করুন এবং তাদের আত্মসম্মান বাড়াতে সাহায্য করুন।
- একে অপরের প্রতি আন্তরিক হোন এবং আপনার আবেগ প্রকাশ করতে ভয় পাবেন না।
- আপনার সম্পর্কের জন্য কাজ করুন এবং এটিকে সচল রাখুন।
- বিবাহ একটি সুন্দর বন্ধন যা দুজন মানুষের জীবনকে একসাথে জড়িয়ে রাখে। এই বন্ধনকে সুন্দর ও মজবুত রাখতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সমানভাবে চেষ্টা করা উচিত।
বিবাহিত জীবন স্থায়ী করার জন্য উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ:
- সাময়িক ঝগড়া-বিবাদকে গুরুত্ব না দেওয়া: বিবাহিত জীবনে সাময়িক ঝগড়া-বিবাদ হতেই পারে। এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা: বিবাহিত জীবনে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এতে বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি দূর হয় এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া যায়।
- একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা: বিবাহিত জীবনে একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা জরুরি। এতে দুজনের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত হয়।
- একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়া: বিবাহিত জীবনে সন্তান, চাকরি বা অন্যান্য কারণে একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়া কঠিন হতে পারে। তবে একে অপরের জন্য সময় ও মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
বিবাহিত জীবন স্থায়ী করতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সমানভাবে চেষ্টা করা উচিত। একে অপরকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা করা, বোঝাপড়া করা এবং সহযোগিতা করাই হলো বিবাহিত জীবন স্থায়ী করার মূল চাবিকাঠি।
বিবাহিত জীবন সুখের ও দীর্ঘস্থায়ী করতে করনীয় গুলো কি কি?

বিবাহিত জীবন সুখের ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো করণীয়:
১. ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা: বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। একে অপরের ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে।
২. খোলামেলা যোগাযোগ: বিবাহিত জীবনে খোলামেলা যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে তাদের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, অনুভূতি ও উদ্বেগ শেয়ার করতে হবে। এতে একে অপরকে আরও ভালোভাবে বোঝা ও বোঝাপড়া করা সম্ভব হয়।
৩. একে অপরের জন্য সময় দেওয়া: বিবাহিত জীবনে একে অপরের জন্য সময় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে একান্তে সময় কাটাতে হবে। এতে দুজনের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত হয়।
৪. একে অপরকে সাহায্য করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে সাহায্য করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের কাজে সাহায্য করতে হবে। এতে দুজনের মধ্যে সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়।
৫. একে অপরকে বিশ্বাস করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে বিশ্বাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। এতে দুজনের মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি পায়।
৬. একে অপরকে ক্ষমা করা: বিবাহিত জীবনে একে অপরকে ক্ষমা করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের ভুলের জন্য ক্ষমা করতে হবে। এতে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
৭. একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা: বিবাহিত জীবনে একসাথে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা জরুরি। এতে দুজনের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত হয়।
৮. পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা: বিবাহিত জীবনে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এতে বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি দূর হয় এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া যায়।
৯. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা: বিবাহিত জীবনে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সঠিক খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো ও ব্যায়াম করা উচিত। এতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
১০. বিবাহ কাউন্সেলিং করা: বিবাহিত জীবনে সমস্যা হলে বিবাহ কাউন্সেলিং করা উচিত। এতে সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়।
এছাড়াও, বিবাহিত জীবন সুখের ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা উচিত:
- সম্মান: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি সম্মানশীল হতে হবে।
- সহযোগিতা: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
- সহিষ্ণুতা: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি সহিষ্ণু হতে হবে।
- সততা: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে সৎ হতে হবে।
- আন্তরিকতা: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের সাথে আন্তরিক হতে হবে।
- দয়া: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরের প্রতি দয়াশীল হতে হবে।
- ভালোবাসা: স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরকে ভালোবাসতে হবে।
বিবাহ একটি সুন্দর বন্ধন যা দুজন মানুষের জীবনকে একসাথে জড়িয়ে রাখে। এই বন্ধনকে সুন্দর ও মজবুত রাখতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সমানভাবে চেষ্টা করা উচিত।